| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল দাবানল থেকে আমেরিকার শিক্ষা নেওয়া উচিত : খেলাফত আন্দোলন 


দাবানল থেকে আমেরিকার শিক্ষা নেওয়া উচিত : খেলাফত আন্দোলন 


রহমত নিউজ     22 January, 2025     09:27 PM    


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, আমেরিকার জনপ্রিয় পর্যটন শহর লসএঞ্জেলেস ভয়াবহ দাবানলে প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দমকল কর্মীরা নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বিগত ১৫ দিন ধরে  ভয়াবহ আগুনে জ্বলছিল  পেলিসেডসসহ ছয়টি এলাকা। আমেরিকার পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বৃহৎ নগরী এটি।  নিউইয়র্কের পর আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী লস অ্যাঞ্জেলেস।  

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, এরইমধ্যে ৬০ বর্গমাইলের বেশি এলাকার ১৪ হাজার ঘরবাড়ি, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। পুরে ছাই হয়ে গেছে অনেক হলিউড তারকাদের  বিলাস বহুল বাসভবন। কেউ কেউ এটাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বললেও আমরা মনে করি এটা আল্লাহ পাকের গজব ছাড়া কিছুই নয়। এটা দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতনের ভয়াবহ পরিণতির একটি উদাহরণ। কারণ আমেরিকার সরাসরি মদদে পরিচালিত গণহত্যায় ফিলিস্তিনের গাজায় জনগণের উপর টানা ১৫ মাস ধরে ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। হত্যা করেছে নারী শিশু সহ ৪৭ হাজার  নিরপরাধ ফিলিস্তিনি জনগণকে। আহত করেছে লক্ষাধিক মানুষকে। যদিও বিশিষ্ট জনের মতামত অনুযায়ী প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক গুণ বেশি হবে।

খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ইতোমধ্যেই ইসরাইলি বর্বর হামলায় বিলীন হয়ে গেছে ফিলিস্তিনের হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ গুলো। একুশ লাখ জনবসতি অধ্যুষিত ৩৬০ বর্গ কিলোমিটারের  প্যালেস্টাইন নামক ক্ষুদ্র ভূখণ্ডটি পারমাণবিক বোমার আঘাতে বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। সম্মিলিত ইসরাইল- আমেরিকিা জোট ও তার মিত্রদের নিকট ফিলিস্তিনের মুসলমানদের প্রাণের কোন মূল্য নেই। এরা মুসলমানদেরকে মানুষই মনে করে না।

তিনি বলেন, নিরপরাধ মুসলমানদের উপর অমানবিক নির্যাতনের কারণেই  আমেরিকার লস এঞ্জেলেসে দাবানল নামক আগুনের গজব নেমে এসেছে। এ থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রুদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।

তিনি বিলম্বে মুসলমানদের ওপরে সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধ ও স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।